শুক্রবার আনন্দবাজার পত্রিকার সম্পাদকীয়র পাতায় অধীরবাবুর বক্তব্যকে ভুল ব্যাখ্যা করা হয়েছে বলে এক ফেসবুক পোস্টের মাধ্যমে জানিয়েছেন তিনি ।আনন্দবাজার পত্রিকায় সেমন্তী ঘোষ অধীর চৌধুরীর কাশ্মীর সমস্যার বক্তব্যকে আন্তর্জাতিক সমস্যা বলে লিখেছেন। এই নিয়ে অধীরবাবু সম্পুর্ন ভুল তথ্যকে তুলে ধরার জন্য সেই পত্রিকাকে চ্যালেঞ্জ জানিয়েছেন।
অধীরবাবু তার ফেসবুক পোস্টে লিখেছেন- আজ আনন্দবাজার পত্রিকার সম্পাদকীয়র পাতায় লেখা হয়েছে “অধীর চৌধুরী কাশ্মীরকে আন্তর্জাতিক সমস্যা বলে পার্লামেন্টে গোল পাকালেন”, আমি কখনো কোনো সংবাদ মাধ্যমকে বলিনি আমার পক্ষে কিছু লিখতে, সেই সঙ্গে এটাও বলতে চাই ― কোনো মিডিয়ার আনন্দবাজার পত্রিকার সম্পাদকীয়র পাতায় তথ্য পরিবেশন করা ব্যক্তির ভাবমূর্তিকে বিনষ্ট করে, আমি পার্লামেন্টে যা বলেছি তা on record বলেছি। আমার কথা কে সঠিক বেঠিক বলার অধিকার সকলের আছে, কিন্তু যা বলিনি তা quote করার অধিকার কারোর নেই। আমি পার্লামেন্টে কখনোই কোনোভাবেই এই কথা বলিনি যে ― কাশ্মীর আন্তর্জাতিক ইস্যু। সরকারের কাছে query করবার অধিকার একজন সাংসদ হিসেবে নিশ্চই আমার আছে। আনন্দবাজারের মত শতাব্দিব্যাপি খ্যাত একটা সংবাদ পত্র এভাবে পার্লামেন্ট কে refer করে ভুল তথ্য কিকরে পরিবেশন করতে পারে!
আমি চ্যালেঞ্জ করছি, এই সংবাদ পত্র সম্পুর্ন ভুল বলেছে। যদি পার্লামেন্টে আমি কখনো বলে থাকি যে কাশ্মীর আন্তর্জাতিক বিষয়, তাহলে সেটার তথ্য প্রমান দেওয়া হোক, নাহলে আনন্দবাজার পত্রিকার বিশ্বাসযোগ্যতা আগামী দিনে নষ্ট হতে পারে।
ভারতের প্রতিরক্ষামন্ত্রী রাজনাথ সিং বলেছেন, জম্মু-কাশ্মিরের উন্নয়নের জন্যই ৩৭০ ধারা বিলোপ করা হয়েছে। ৩৭০ ধারা হলো ভারতীয় সংবিধানের একটি অস্থায়ী বিধান (টেম্পোরারি প্রভিশন)। এই ধারার আওতায় জম্মু-কাশ্মিরকে বিশেষ মর্যাদা ও বিশেষ স্বায়ত্তশাসন দেওয়া হয়েছিল। ৩৭০ ধারা সংবিধানে অন্তর্ভুক্ত হয়েছিল ১৯৪৯ সালের ১৭ অক্টোবর।
এনডিটিভিকে দেওয়া এক বিশেষ সাক্ষাৎকারে অমর্ত্য সেন বলেছেন, গণতন্ত্র ছাড়া কোনোভাবে কাশ্মীর সমস্যার সমাধান করা সম্ভব নয়।