ব্যর্থতা বলে কিছু হয় না। নতুন ভোর আসবেই। বারবার মনে করিয়ে দেন দেশ তাঁদের সঙ্গে আছে। দেশবাসী যে উদ্বেগ নিয়েছে সারারাত ধরে তা আগামিদিনে সাফল্যের দিকে এগিয়ে যাওয়ার জেদ আরও খানিকটা বাড়িয়ে দিয়েছে:নরেন্দ্র মোদি
চন্দ্রায়ণ -২ চাঁদের দক্ষিণ মেরুতে পৌঁছানোর কয়েক সেকেন্ড আগে যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে যায় । এসময় ইসরোর সদর দফতরে প্রধানমন্ত্রী মোদীও উপস্থিত ছিলেন। এর পরে, সকালে আবারও প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী বিজ্ঞানীদের উত্সাহ দেওয়ার জন্য বেঙ্গালুরুতে ইসরো সদর দফতরে পৌঁছেছিলেন।
রাত ১.৪০-এর পর চাঁদের মাটি স্পর্শ করার কথা ছিল ল্যান্ডার বিক্রমের। রাতভর দেশের মানুষ সেই ঐতিহাসিক মুহূর্তের অপেক্ষায় বসে ছিল। কিন্তু, মাত্র ২.১ কিলোমিটার দূরে থাকতেই বিক্রমের সঙ্গে যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে যায় ইসরোর। কন্ট্রোল রুমে নেমে আসে নৈশব্দ। সেই স্তব্ধতা ভেঙে কে সিবানই ঘোষণা করেন, সব কিছু পূর্ব পরিকল্পনা মত হলেও বিক্রমের সঙ্গে যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে গিয়েছে। সমস্ত দেশবাসী তখন তাঁর মুখের দিকে তাকিয়ে।
প্রধানমন্ত্রী মনোভাবে স্পষ্ট, বিক্রমের নিখোঁজ হয়ে যাওয়াটাকে ব্যর্থ মনে করছেন না তিনি। ইসরোর কর্মতৎপরতার তারিফ করে তিনি বরং স্মরণ করিয়ে দিচ্ছেন, অরবিটার এখনও তথ্য দিচ্ছেন। বক্তৃতা শেষ করার সময়ে, চেনা আত্মবিশ্বাসের সুর শোনা গেল তাঁর গলায়, ‘‘চাঁদের পৌঁছনোর জন্য আমাদের ইচ্ছাশক্তি আরও প্রবল হয়েছে। সংকল্প আরও দৃঢ় হয়েছে।’’
ঝরঝর করে কাঁদছেন ইসরো প্রধান৷ বুকে জড়িয়ে ধরে তাকে সান্ত্বনা দিচ্ছেন প্রধানমন্ত্রী৷ এই দৃশ্য দেখে চোখের কোল চিকচিক করে উঠল আপামর ভারতবাসীর৷
২০০৮ সালে চন্দ্রযান ১ ও ২০১৩-র মিশন মঙ্গলের পর চন্দ্রযান ২ ছিল ভারতের তৃতীয় অভিযান৷
কেঁদে ফেললেন ইসরো প্রধান, বুকে জড়িয়ে ধরলের মোদি
Facebook Comments