বলিউড অভিনেতা ইরফান খান মঙ্গলবার মুম্বইয়ের কোকিলাবেন ধিরুভাই আম্বানি হাসপাতালে ভর্তি হওয়ার পরে মাত্র 53 বছর বয়সে তিনি মারা যান।হঠাৎ করে তাঁর স্বাস্থ্যের অবনতি হওয়ায় তাঁকে আইসিইউতে রাখা হয়েছিল।ব্রেনে টিউমার নিয়ে বেশ কয়েক বছর ধরে লড়াই করেছেন তিনি।
2012 সালে ইরফান বেশ কয়েক মাস ধরে বিদেশে চিকিত্সা করছিলেন, সেই সময়ে মাত্র একটি প্রকল্পে কাজ করেছিলেন পরিচালক হোমি আদাজানিয়ার অ্যাঞ্জ্রেজি মিডিয়াম। শনিবার এই অভিনেতা তার মাকে হারিয়েছেন। করোনভাইরাস লকডাউনের কারণে ইরফান তার মায়ের জানাজায় অংশ নিতে পারেননি।
তাঁর মৃত্যুর সংবাদটি টুইটারে শেয়ার করেছেন চিত্রনায়ক শোজিৎ সিরিয়ার। ‘আমার খুব কাছের বন্ধু, ইরফান। তুমি লড়ে গিয়েছে, লড়েই গিয়েছ। তোমাকে নিয়ে আমি সবসময় গর্ববোধ করি। আমাদের আবার দেখা হবে। সুতপা ও ছেলেদের জানাই সমবেদনা। সুতপা তুমিও লড়াইটা চালিয়ে গিয়েছ। এখনও যাচ্ছ। তোমাকে সেলাম, ইরফান।’
মৃত্যুর সঙ্গে লড়াই করতে গিয়ে ইরফান সোশ্যাল মিডিয়ায় লিখেছিলেন , ‘‘নমস্কার ভাই-বোনেরা। আমি ইরফান। আপনাদের সঙ্গে একপ্রকার রয়েছি আবার নেইও! ‘আংরেজি মিডিয়াম’ ছবিটি আমার জন্য ভীষণ গুরুত্বপূর্ণ। বিশ্বাস করুন, যেভাবে ভালবেসে ছবিটা তৈরি করেছি, ঠিক সেভাবেই এর প্রচার করতে চেয়েছিলাম। কিন্তু আমার শরীরে কিছু অযাচিত অতিথি এসে বাসা বেঁধেছে, তাদের সঙ্গেই আপাতত কথাবার্তা চলছে। দেখি কী হয়! যাই হোক না কেন, আপনাদের জানাব।’’