লোকডাউনের কারণে সারা দেশের গরিব মানুষ অভুক্ত , কথাও কোথাও এমন ছবি পাওয়া গেছে যে কুকুরের সাথে মানুষ খাচ্ছে। আর এর মধ্যে চেন্নাইয়ে রাধিকা কস্তুরি ১০০ টি রাস্তার কুকুরকে খাওয়াচ্ছেন।তার দিন শুরু হয় পশুকে নিয়ে আর দিন শেষ হয় পশুকে নিয়েই। গান্ধী নগরীর এই বাসিন্দার জন্য, লকডাউনের অর্থ হ’ল তার খাওয়ার জন্য আরও ক্ষুদার্থ কুকুর রয়েছে। তিনি দ্যা হিন্দুকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে বলেছেন “আমি নিয়মিত গান্ধীনগরের আশেপাশে প্রায় ৬০০ টি ক্ষুদার্থ কুকুরকে খাওয়াচ্ছি। লকডাউন এর কারণে এখন কমপক্ষে ৩০ থেকে ৪০ টি কুকুর রয়েছে যা আমি প্রতিদিন সন্ধ্যায় খাওয়াই ।তার দিন বেসেন্ট মেমোরিয়াল অ্যানিমাল ডিসপেনসারি (বিএমএডি) থেকে শুরু হয় যেখানে তিনি একজন সমন্বয়কারী।
সকাল ও বিকেলে আশ্রয়কেন্দ্রে কাটিয়ে তিনি সন্ধ্যার দিকে প্রায় পাঁচটার দিকে নিজের বালচালিত খাবার নিয়ে দু-চাকার গাড়িতে করে রওনা হন।তিনি বলেছেন ,“কুকুরগুলি এখন আমার দু-চাকার শব্দ শুনে আমাকে অভ্যর্থনা জানাতে ছুটে আসে। সন্ধ্যায় রাস্তায় কেউ নেই এবং আমি একটি মুখোশ ও গ্লাভস পরে যথেষ্ট সতর্কতা অবলম্বন করি। প্রায় ১০০ টি ক্ষুদার্থ কুকুরকে খাওয়ানোর জন্য তিন ঘন্টা সময় নেয়। যে খাবারটি খাওয়ানো হয়, তার বেসেন্ট মেমোরিয়াল অ্যানিমাল ডিসপেনসারি আশ্রয়কেন্দ্রের কর্মীদের সহায়তায় তৈরি করা হয়।”
চেন্নাইয়ের রাধিকা জানিয়েছেন,” যে মানুষ তাদের গেটের ঠিক বাইরে কয়েকটা কুকুরকে খাওয়ানোর মাধ্যমে তাদের নিজের অঞ্চলের পশু প্রাণীদের দেখাশোনা করতে পারে। “মানুষের এই জন্য বেশিদূর যাওয়ার প্রয়োজন নেই। তবে মানুষের প্রতিদিন একই সময়ে এটি করা জরুরী যেহেতু কুকুররা একটি নিত্যনতুন অভ্যাস করবে এবং খাবারের জন্য অপেক্ষা করবে।