শাহ ফায়সাল ও কন্নন গোপীনাথ এর পরে তৃতীয় আইএএস অফিসার হিসাবে পদত্যাগ করলেন কর্নাটকের ২০০৯ ব্যাচের শশীকান্ত সেন্থিল। নিজের পদত্যাগ পত্রে তিনি লিখেছেন “- বর্তমান সময়ে দেশ গভীর সঙ্কটের মধ্যে রয়েছে। মানুষের বাক স্বাধীনতা হরণ করে নেওয়া হচ্ছে,, প্রতিবাদীদের কন্ঠরোধ করে চলেছে রাষ্ট্রশক্তি।এই পরিস্থিতিতে সরকারি পদে থাকা সম্মানজনক নয়। তাই প্রতিবাদ জানাতে পদত্যাগ করলাম।”
শশীকান্ত আরো জানিয়েছেন – “আগামী প্রজন্মের
ভবিষ্যত অন্ধকার। দেশ অবিলম্বে গভীর সঙ্কটের মধ্যে পতিত হতে চলেছে।”
শশীকান্ত আদতে তামিলনাড়ুর বাসিন্দা। বর্তমানে
কর্ণাটকে কর্মরত। প্রসাশন মহলে শশীকান্তের
যথেষ্ট সুনাম রয়েছে। দূর্নীতির সঙ্গে কখনো আপোষ করেননি।
তিনি ২০১৩ সালের জুন মাসে দক্ষিণ কন্নড় জেলার জেলা প্রশাসক হিসাবে দায়িত্ব গ্রহণ করেছিলেন এবং জেলাটি সবচেয়ে সক্রিয় ডিসি হিসাবে প্রশংসিত হয়। ৪০ বছর বয়সী মিঃ সেন্থিল ২০০৯ ব্যাচের তামিলনাড়ু থেকে আগত। তিনি তীরুচিরাপল্লীর ভর্তিদাসন বিশ্ববিদ্যালয় থেকে প্রথম বিভাগে বিই (ইলেকট্রনিক্স) কোর্স পাস করেছেন। মিঃ সেন্থিল ২০০৯ থেকে ২০১২ সালের মধ্যে বালারীতে সহকারী কমিশনার হিসাবে দায়িত্ব পালন করেছিলেন এবং শিবমোগগা জেলা পঞ্চায়েতের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তার পদটি দুটি পদে রেখেছিলেন। তিনি চিত্রদুর্গা ও রায়চুর জেলার জেলা প্রশাসকও ছিলেন। মিঃ সেনথিল ২০১৬ সালের নভেম্বর থেকে খনি এবং ভূতত্ত্ব বিভাগের পরিচালক ছিলেন। আগস্ট মাসে, এজিএমটি ক্যাডার থেকে আইএএস অফিসার কান্নান গোপিনাথন, যিনি গত বছর কেরালায় বন্যার ত্রাণ প্রয়াসে অজ্ঞাতসারে অংশ নেওয়ার কারণে আলোচনায় এসেছিলেন, তিনি এই বলে এই পদ থেকে পদত্যাগ করেছিলেন যে তিনি তার মত প্রকাশের স্বাধীনতা ফিরে চান।