সুরত মিউনিসিপাল কর্পোরেশনের (এসএমসি) মহিলা প্রশিক্ষণার্থী হাসপাতালে মেডিকেল টেস্টের জন্য লাইন দিয়ে নগ্ন করে দাঁড় করিয়ে রাখার অভিযোগ উঠল।কিছুদিন আগেই ভুজের একটি মহিলা কলেজে ঋতুস্রাব হয়েছে কিনা জানতে 68 জন ছাত্রীর অন্তর্বাস খুলিয়ে পরীক্ষা করা হয়েছিল। অভিযোগ উঠেছিল, কলেজ কর্তৃপক্ষের বিরুদ্ধে।
শুক্রবার সুরত পৌর কমিশনার বাছনিধি পানী হাসপাতালের স্ত্রীরোগ বিশেষজ্ঞ ওয়ার্ডে 10 জন ট্রেনি মহিলা ক্লার্ককে পুরসভা পরিচালিত হাসপাতালের গাইনোকলজি ওয়ার্ডে মেডিকেল পরীক্ষার জন্য নগ্ন অবস্থায় দাঁড় করিয়ে রাখা অভিযোগে তদন্তের নির্দেশ দিয়েছেন।
বৃহস্পতিবার কমিশনারের কাছে করা অভিযোগে এসএমসি কর্মচারী ইউনিয়ন অভিযোগ করেছে যে অবিবাহিত মহিলাদেরও গর্ভাবস্থার পরীক্ষা করেন মহিলা চিকিৎসকরা
কথিত ঘটনাটি গত ২০ শে ফেব্রুয়ারি এসএমসি পরিচালিত সুরত পৌরসভার মেডিকেল শিক্ষা ও গবেষণা ইনস্টিটিউট (এসএমআইএমইর) হাসপাতালে ঘটেছিল। তিন বছরের প্রশিক্ষণ সম্পূর্ণ হওয়ার জন্য কয়েকজন মহিলা ট্রেনি ক্লার্ক পরীক্ষার জন্য় ওই হাসপাতালে আসেন। তারা বাধ্যতামূলক পরীক্ষার বিরোধী নয়, তবে গাইনোকলজি বিভাগে ওঁদের ওপর যে পদ্ধতি প্রয়োগ করা হয়েছে।
অভিযোগের ভিত্তিতে পানি এই অভিযোগের তদন্ত করতে এবং 15 দিনের মধ্যে একটি প্রতিবেদন জমা দেওয়ার জন্য শুক্রবার একটি তিন সদস্যের কমিটি গঠন করেছে।
কমিটিতে মেডিকেল কলেজের প্রাক্তন ডিন ডঃ কল্পনা দেশাই, সহকারী পৌর কমিশনার গায়ত্রী জারিওয়ালা এবং নির্বাহী প্রকৌশলী ত্রপ্তি কলথিয়া।কর্মকর্তারা বলেছেন, নিয়ম অনুসারে, প্রশিক্ষণকালীন মেয়াদ শেষ হওয়ার পরে সমস্ত প্রশিক্ষণার্থী কর্মীদের শারীরিক যোগ্যতা প্রমাণের জন্য শারীরিক পরীক্ষা করাতে হবে।