এবার যুব সম্প্রদায়কে অন্যায়ের বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়াতে বার্তা দিলেন আইনজীবী ও নাগরিক আন্দোলনের অন্যতম মুখ প্রশান্ত ভূষণ।শনিবার সন্ধ্যায় প্রশান্ত সিপিএমের ছাত্র সংগঠন এসএফআইয়ের অনুষ্ঠানে বলেছেন,আমরা খুব গুরুত্বপূর্ণ ঝুঁকির মুখে দাঁড়িয়ে আছি । দেশের সংবিধানের প্রতিটা অংশের উপরে আক্রমণ চলছে । ভারতকে হিন্দু রাষ্ট্রে পরিণত করার চেষ্টা চলছে , অন্যায়ের বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়ানোর অধিকার কেড়ে নেওয়ার প্রচেষ্টা চলছে । আমাদেরকে ক্ষমতার সামনে দাঁড়িয়েই কথা বলতে হবে। তার ফলে যা পরিণাম ভুগতে হয়, হবে,না হলে কাল আর কিছু বাঁচানোর জন্য অবশিষ্ট থাকবে না। ’’
শীর্ষ আদালত,সুপ্রিম কোর্ট ও দেশের প্রধান বিচারপতির বিরুদ্ধে প্রশান্তের করা টুইটের প্রেক্ষিতে তাঁকে ক্ষমা চাইতে বলেছিলো। শীর্ষ আদালতের বিচারপতি অরুণ মিশ্রর নেতৃত্বাধীন তিন বিচারপতির বেঞ্চে এই মামলা চলছিল।কিন্তু তিনি জানিয়েছেন , যেটা বিশ্বাস করি‘সেটাই টুইট করেছি । আমি যদি এই আদালতের সামনে এমন কোনও মন্তব্যের জন্য ক্ষমা চাই, যেটা আমি মনে করি সত্য, তাহলে সেটা হবে অনৈতিক ক্ষমা চাওয়া, আমার চোখে সেটা হবে আমার অনুভবে অবমাননা এবং এমন একটা প্রতিষ্ঠানের অবমাননা যেটাকে আমি সর্বোচ্চ বলে মনে করি।’
বৃহস্পতিবার শীর্ষ আদালত, শাস্তির পরিমাণ নিয়ে সিদ্ধান্ত নেওয়ার সময় ২৪ আগস্ট অবধি ভূষণকে তার বক্তব্য পুনর্বিবেচনা করার এবং সু-মোতু অবমাননার মামলায় নিঃশর্ত ক্ষমা চেয়ে আবেদন করার সময় দিয়েছিল। সাজা দেওয়ার বিষয়ে আদালত তার আদেশ সংরক্ষণ করেছেন। আদালত বলেছে যে মামলায় একটা ক্ষমা চাওয়া হয়েছে, ২৫ আগস্টে এ বিষয়ে শুনানি হবে।প্রশান্ত সোমবার তার আইনজীবী কামিনী জয়সওয়ালের মাধ্যমে পরিপূরক জবানবন্দি দায়ের করেছিলেন।
তিনি তার অবস্থান পুনর্ব্যক্ত করেছেন ও বলেছেন যে আদালতের একজন কর্মকর্তা হিসাবে কথা বলা তাঁর কর্তব্য, যখন তিনি বিশ্বাস করেন যে আদালতের “স্টার্লিং রেকর্ড” থেকে কোনও বিচ্যুতি রয়েছে।“আমি সুপ্রিম কোর্ট বা কোনও বিশেষ প্রধান বিচারপতিকে কুখ্যাত করার জন্য নয়, বরং গঠনমূলক সমালোচনা করার জন্য এই মন্তব্য করেছি।